,

৪ শিশু হত্যার অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছে আদালত : ৫ আসামির জামিন নামঞ্জুর

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চাঞ্চল্যকর চার শিশু হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১টায় জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালদারের আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। আগামী ২৫ জুলাই মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা ৫ আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া ডাক্তারি প্রতিবেদনে আসামি রুবেলের বয়স নিয়ে জটিলতার অবসান হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- রুবেল কিশোর নয়, তিনি প্রাপ্ত বয়স্ক। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম জানান, মেডিক্যাল প্রতিবেদন অনুযায়ী রুবেলের বয়স নির্ধারণ হয়েছে। তার সঙ্গে আলোচিত এ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। বাদী পক্ষের আইনজীবী ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন জানান, চাঞ্চল্যকর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ নিয়ে বারবার সময় ক্ষেপণ হলেও মঙ্গলবার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। গত ৫ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের প্রাক্তন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোকতাদির হোসেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) কাউছার আলমের আদালতে ৮ জনকে আসামি করে এ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এর মধ্যে কারাগারে আটককৃতরা হলেন-হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আব্দুল আলী বাঘাল, তার দুই ছেলে জুয়েল ও রুবেল, একই গ্রামের আজিজুর রহমান আরজু ও শাহেদ আলী। পলাতক ৩ আসামি হলেন- আব্দুল আলী বাঘালের ভাতিজা অটোরিকশা চালক বিল্লাল হোসেন, উস্তার মিয়া ও বাবুল আহমেদ। মামলার অন্যতম আসামি অটোরিকশা চালক বাচ্চু র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এ ছাড়া কারাগারে বন্দি সালেহ ও বশির আহমেদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি (নট সেন্ট আপ) দেওয়ার জন্য অভিযোগপত্রে বলা হয়। তারা দুইজন জামিনও পেয়েছেন। চার শিশু হত্যা ঃ উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্র“য়ারি বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার পুত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাত ভাই আব্দুল আজিজের পুত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার পুত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরের পুত্র ইসমাঈল হোসেন (১০) নিখোঁজ হয়। পরদিন ওয়াহিদ মিয়া বাহুবল মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ১৬ ফেব্র“য়ারি বাহুবল মডেল থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করা হয়। ১৭ ফেব্র“য়ারি সুন্দ্রাটিকি গ্রামের কাজল মিয়া নদীর পাশে মাটি কাটতে গিয়ে বালিচাপা অবস্থায় ৪ শিশুর লাশ দেখতে পান। পরে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত শেষে ওই দিন রাতে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আব্দুল আলী বাঘাল, তার দুই ছেলে জুয়েল ও রুবেল, একই গ্রামের আজিজুর রহমান আরজু, শাহেদ আলী, সালেহ এবং বশিরসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


     এই বিভাগের আরো খবর